Saturday, December 29, 2012

দুরন্ত দিনের কথা

একে একে হারিয়ে গেল জীবন থেকে সব
হারিয়ে গেল শিশুকালের রঙিন কলরব।
কিশোর কালের স্বপ্নগুলো পড়লো চাপা কালে
মাতাল জীবন নাটায় ঘুড়ি বাস্তবতার জালে।
বাবার মত আদর মাখা শাষণ ছাড়া আজ
হতাশ জীবন বাঁধন হারা মিথ্যে সকল কাজ।
মায়ের হাতে খাবার খাওয়া স্নেহমাখা গালি
আর পাব কি ফুলবাগানের যত্ন করা মালি?
পড়ার ফাঁকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাওয়া মাঠ
আজকে কেমন ধূ ধূ করে দুরন্ত সেই পাঠ।
পাঠশালাতে আড্ডা দেওয়া বন্ধু সবাই কৈ?
মন কাঁদে আজ ব্যাকুল হয়ে করবে সে হৈ চৈ।
গোল্লাছুট আর লাটিম খেলা কেমন মনে পড়ে
সন্ধ্যা ঘনার একটু আগে মন টিকে না ঘরে।
বর্ষা এলে নদীর জলে দিন রাত্রি ভাসা
ফিরিয়ে পেতে মনের কোণে নিত্য জাগে আসা।
শীতের রাতে খেজুর রসে দাদার তাড়ায় স্নান
আহা! এমন রাতকে পেতে মন করে আনচান।
সাপকে তাড়া পিছন ছুটে গর্তে ফেলা মাটি
আজকে ভাবায় কেমন ছিলাম দুষ্টমিতে খাঁটি।
বিলের জলে শাপলা তোলা জোকের সাথে আড়ি
কেমন করে কাপড় শুকে লুকিয়ে ফেরা বাড়ি!
ঝড়ের রাতে আম কুড়ানো সবার জাগার আগে
ভীষণ রোদে গা পোড়ালেও ক্ষেপত মায়ে রাগে।
বোনের আদর যেমন ছিল বাবায় দিলে তাড়া
সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে বলতো বাবু দাড়া।
আজকে আমি অনেক একা নেই'ক তাদের কেউ
বন্ধু বলেও যারা ছিল হারিয়ে গেল সেও।

বিসর্জন

তুই বল কেন জল ঝড়ে আজ চোখে
আজ তো তোর সুখের সময়- নিমগ্ন কেন শোকে?
মুক্তি চেয়েছ, ভালো যেন থাকো- একেলা আমায় ছাড়া
আজ কে তবে অশ্রু কেন, কাঁদছ আত্নহারা?

সুখে থাক তুই- সারাটি জীবন, যেমনটি আমি চাই
তাই তো কভুও কষ্টের কথা মুখ ফুটে বলি নাই।
কাটুক সকাল স্নিগ্ধতা ভরে, নির্মল হোক মন
সুখে থাক তুই- অনেক সুখে; চিরকাল আজীবন।
খোলা জানালার অঢেল আলো আসুক প্রতিটা দিন
জ্যোৎস্না মাখা রাত্রি আসুক- বিভোর স্বপ্ন রঙিন।
পুষ্পের কুঁড়ি শোভা পায় যেন তোদের সংসারে
আনন্দ হাসি ভরিয়ে তুলুক সোনামাখা তোর ঘরে।

আমিও আছি মুক্ত মানুষ মুক্ত জীবন নিয়ে
ভালোবাসা মুছে হাসতে পারিনি, করতে পারিনি বিয়ে।
একেলা ঘরে ঘুম না এলে চাঁদ কে বলি সব
জ্যোৎস্নার জলে কষ্ট মুছি স্বপ্নের কলরব।

Monday, December 17, 2012

শুভকামনা...

সুখে থাক তারা, দম্পতি যারা-
অনাগত আরো যত
নতুন জীবন, নতুন ভুবন
রয়ে যাক অক্ষত।

ভরুক জীবন কোণায় কোণায়
কচি কাচা কেউ এসে
কাটুক সময় আনন্দময়

মধুময় ভালোবেসে।

শুভ এই ক্ষণ, আকুপাকু মন
চিরদিন যেন থাকে
ছোট খাট ভুল, বেদনার মূল
নাহি যেন কভু আসে।

দূরত্ব যেন কভু নাহি আসে-
সামান্য কোন ভুল
সুখে থাক তারা, দম্পতি যারা
উহাদের দুই কূল।

Friday, December 14, 2012

যেমন আমি...

তুমি নির্মম বলে- মোম হতে পারি
গলতেও পারি তাপে
কর্কশ কিছু শুনে তাই আমি
মুখ বুঝে থাকি চাপে।
হতাশা আমাকে গ্রাস করেনা'ক
সামনের পথ চলা
দুঃখ এলে গোপনে রাখি-
না যায় যদি বলা।
ভাগ্যকে আমি মেনেই নিয়েছি
কটাক্ষ করিনা তাকে
স্বাগতম বলি যা কিছু সত্য-
মানতেই হবে যাকে।
সাহসের সাথে হাসি মুখে থাকি
নির্ভয়ে বলি সব
আমি তো জানি রক্ষক যিনি-
মঙ্গলকামী রব।
ভাবিনা'ক অত অনাগত যা
গোপনে রয়েছে রাখা
শত্রুকে তাই জরিয়ে ধরি
পথে হলে কভু দেখা।
হাত পেতে কভু ফেরত চাইনে
অতীতের প্রতিদান
অনাহারী হলে অনাহারে থাকি
করিনা'ক অভিমান।

কবি নির্মলেন্দু গুণ

কবি কি ভীতু আজ?
কবিতা কাউকে ভয় করে না...মানে না সরফরাজ।
মৃত্যুকে কেন ভয়?
নির্ভয়ে চল, দুর্বার তুমি, মৃত্যুকে কর জয়।
কবিতা সদা সত্য বলে, ভীতু কেন তবে কবি?
ভয় পেয়না, আমি তো জানি, বাংলাতে তুমি রবি।
অক্ষত তুমি, বিপ্লবী তুমি, তুমি তো চিরঞ্জীব
এগিয়ে চল, কবি ও কবিতা- এগিয়ে চল শিব।


বি দ্রঃ কবিতাটি কবি নির্মলেন্দু গুণের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোষ্টের সাপেক্ষে লেখা।

পোষ্টটি নিম্নে দেওয়া হল-


বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

“কখন যে কীভাবে আল্লাহর গজব নেমে আসে,
মানুষ জানে না। মানুষ তো হলো সেই প্রাণী,
ইতিহাস থেকে কভু শিক্ষা গ্রহণ করে না যে।

.. .. .. .. ..

হে বাংলাদেশিগণ, রাষ্ট্রশক্তি নিয়ে করিও না খেলা,
অন্তরে-বাহিরে সত্য, শুদ্ধ হয়ে ওঠো এই বেলা।


মনে রাখবা, গজব হচ্ছে একটা চলমান প্রক্রিয়া।”

───────────────── নির্মলেন্দু গুণ।
Like · · Share · 6 hours ago ·

Fatiha Haque, Akhtaruzzaman Azad, Abul Kasem Adil and 27 others like this.

Osman Mahmud দাদা গুন, (যদিও তোমার কোন গুণ দেখিনি) তোমারে বধিতে তোমারই অস্ত্র হইয়াছে আজ খাড়া।
6 hours ago via mobile · Like
Abdul Haque ওসমান সাহেব, কী বলতে চাইছেন বুঝলাম না!
5 hours ago via mobile · Like
Shabbir Ahmed Foyez Tik শিক্ষা গ্রহণ করে না
4 hours ago · Like
Nirmalendu Goon আবদুল হক, তোমার মতো আমিও ঠিক বুঝতে পারলাম না, কী বলতে চাইছেন ঐ ওসমান সাহেব। উনি কি আমাকে থ্রেট করছেন? একটু ভয় ভয করছে বটে।

ওসমা্ন সাহেব আবদুল হক বা আমার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। উনার নীরবতা নিষ্ঠুরতার বার্তাবহ নয় তো? আমি এখন কী করবো? আপনারা কি ওসমান সাহেবকে চিনেন? উনি কেমন লোক? দাদা গুণ বলছে, আবার বলছেন, আমার কোনো গুণই নাকি উনি দেখেন নাই। তারপর বলতেছেন, তোমারে বধিতে... তোমারই অস্ত্র হইয়াছে আজ খাড়া। এর মানে কী? আমারে বধিতে.... মানে? তার মানে কি উনিই খাড়া হইছেন আমারে বধিতে?
উনার বাড়ি দেখছি চট্টগ্রামে। আমি আর চট্টগ্রামে যাবো না ভাই। আমার কি র‌্যাব বা পুলিশকে এই ব্যাপারটা জানানো উচিত? আপনাদের অভিমত জানতে চাইছি। আমাকে নির্ভয় হতে সাহায্য করুন।

Friday, December 7, 2012

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে হৃদয়ের মাঝে স্বপ্ন বিছানো কিনা?
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
কভু না করা ঘৃণা।

ভালোবাসা মানে অহিংস পৃথিবী উপহার মন থেকে
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
বর দেওয়া কাছে ডেকে।

ভালোবাসা মানে সুখ দিয়ে করা কষ্টের বিনিময়
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
হেরে বলা তোর জয়।

ভালোবাসা মানে নিজের খাবার অন্যকে তুলে দেওয়া
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
বিনিময় কভু না চাওয়া।

ভালোবাসা মানে অশ্রু লুকিয়ে ফুটানো মিষ্টি হাসি
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
মরণেও পাশাপাশি।

ভালোবাসা মানে হিসাবের খাতা পূর্ণ করে রাখা
ভালোবাসা মানে ভালোবেসে যাওয়া,
ফিরে না কভুও দেখা।

Tuesday, December 4, 2012

আমি যে পুরুষ

একযুগ আগে বলেছিলে, আমায় মালা দিবে
আমি বলেছিলাম, আমি মালা দিয়ে কী করব?
আমার প্রয়োজন নেই।
ও আমায় মানাবে না।
আমি বলেছিলাম কারণ আমি যে পুরুষ।
মালাটা আসলে কিসের প্রতীক- আমার জানা ছিলো না।
কিন্তু তুমি জানতে, বুঝতে...
কারণ তুমি তো নারী
পুরুষের বহু আগে অসহায়ত্ব তোমাকে বরণ করেছিল।

একযুগ আগে বলেছিলে, আমার হাতটি ছুঁবে
আমি বলেছিলাম, প্রয়োজন নেই
তোর হাতকে আমার সহ্য হয় না
ন্যাকামি করছিস কেন?
কী এমন হবে হাত ছুঁয়ে?
আমি বুঝিনি হাত ছোঁয়া মানে কী?
আমি বলেছিলাম কারণ আমি যে পুরুষ।
হাত ছোঁয়া আসলে কী আমার জানা ছিলো না।
কিন্তু তুমি জানতে, বুঝতে...
কারণ তুমি তো নারী
পুরুষের বহু আগে অসহায়ত্ব তোমাকে বরণ করেছিল।

একযুগ আগে বলেছিলে, আমি নাকি সুন্দর
আমি বলেছিলাম, মিথ্যে বলিস কেন?
আমি জানি আমি অসুন্দর
আর আমাকে পঁচাবি না।
এসব বাজে কথা শুনতে ইচ্ছে হয়না।
তুই বড়ই বিরক্তি কর।
আমি বলেছিলাম কারণ আমি যে পুরুষ
সুন্দর হওয়া মানে আমার জানা ছিলো না।
কিন্তু তুমি জানতে, বুঝতে...
কারণ তুমি তো নারী
পুরুষের বহু আগে অসহায়ত্ব তোমাকে বরণ করেছিল।

একযুগ আগে বলেছিলে, আমায় না দেখলে তোর ভালোলাগে না
আমি বলেছিলাম, এতে ভালো না লাগার কি আছে?
তোর তো অনেক বন্ধু আছে
তাদের কে পাশে পাবি।
আমার তো অনেক ভালো লাগে।
আমি বলেছিলাম কারণ আমি যে পুরুষ।
ভালো না লাগার মানে আমার জানা ছিলো না।
কিন্তু তুমি জানতে, বুঝতে...
কারণ তুমি তো নারী
পুরুষের বহু আগে অসহায়ত্ব তোমাকে বরণ করেছিল।

অসারত্ব আমাকে আজ তোমার মত করে গ্রাস করে
আমি আজ বুজতে পারি তুমি আমায় ভালোবাসতে।
আজ আমিও বাসি
তোমার মত করে অনুভব করি, কোথাও ফাঁকা পড়ে আছে
একযুগ পরে আমি ঠিক তোমার মত অসহায়
ভালোবাসার সেই জায়গাটুকু আছে, শুধু তুমি নেই।
আমি ভালোবাসি অস্তিত্বহীন একযুগ আগের তোমাকে।

Sunday, December 2, 2012

মিথ্যে আকাশ ছুঁই

ভালোবাসিস বলেই কেবল
ভালো না বাসার ছল
মিথ্যে করে বলিস তোরা
মিথ্যে করেই বল।

এখান সেখান আসবি যাবি
পড়লে মনে টান
আসিস তখন ফিরিয়ে দিব
বন্ধী খাঁচার প্রাণ।

চোখের তাঁরায় আমার ছায়া
আড়াল করে রাখা
মুখের কথায় মনের কথা
কেমনে পড়ে ঢাকা।

বলছি না তোর প্রেম পদ্ম
আমার কাছেই দিস।
যখন তখন চাইলে মনে
আবার ফিরে নিস।

চায় যদি মন আবার তবে
ফিরতি বিকেল বেলা
খেলতে আসিস আমার সনে
সাঙ্গ হলে খেলা।

আবার তোরে আকাশ দিব
আবার দিব মন
জানিস না তুই আমার কাছে
কতই প্রিয় জন।

একটা গোলাপ ছিলোই রাখা
করলি বাসি তুই
একটা মনের আকুলতায়
মিথ্যে আকাশ ছুঁই।


Thursday, November 29, 2012

প্রিয় রং লাল

রক্তকে ভয় পাই বটে-
কিন্তু প্রিয় রং লাল।
একদিন আমি লাল পরী দেখেছিলাম বলে।

আকাশের রং অনেক দেখেছি
বলতে পারিনি-
আমি আকাশীকে ভালোবাসি।
গোলাপ দেখেছি বহুবার
কিন্তু গোলাপীকেও না।
ভরা অমাবস্যা- কালো কেশ,
তবু বলতে পারিনি কালো।
ধবধবে সাদা, কলঙ্কহীন
সেও তো লাগেনি ভাল।

আমি ভালোবাসি লাল।
অজস্র দিন খুঁজে-
আজকে পেয়েছি যা
নতুনকে বলবনা আর কোন কাল।

Sunday, November 25, 2012

উত্তরণ

তুই থাক বেশি ভালো-
আমাকে সাজাবার প্রয়োজন নেই; অত বেশি জমকালো।
তোদের পৃথিবী আলোয় ভরুক; আঁধারের খুঁটিনাটি।
তসলিম করি তোকে আর আমি- তোদের ঐ পরিপাটি।

প্রয়োজন নেই; থাক্‌না পরে কাদামাখা তসবির।
পারবনা আমি ঘুচাতে আমার লিখে নেওয়া তকদির।
প্রয়োজন নেই- শেষ বেলা এসে তোদের মিথ্যে আশা-
তুই ত জানিস আমিও জানি- অভিনয়-ভালোবাসা।
তস্কর বলে লস্কর দিয়ে আর কত দিবি ঘাঁ
কত ছুটি আর- ছুটিতে পারিনা। অচল আমার পা।

Saturday, November 24, 2012

রাগিস না তুই

শিশির ঝড়া শীতের সকাল
হঠাৎ কোন ভোরে
রাগিস না তুই তখন আমি
একটু ছুঁলে তোরে ।

মন যদি চায় কপাল ছুঁব
চোখটি ছুঁব তোর
হাতের সাথে হাত মিলিয়ে
খুলব মনের দোর।

দেখব তোমার স্বর্গ কোথায়
কোন সে নেশায় ঢাকা
আনব টেনে বাহুই বেঁধে
থাকুক যেথায় রাখা।

ভাংব আগল, পাগল করে
বাঁধব মায়ায় তবে
বাধব তবে সোনার কুঠির
অটল যেন রবে।।

Wednesday, November 21, 2012

স্বর্গ

যে শিশু ভুলকরে পৃথিবীতে এসে
আঁকড়ে ধরেছিল মাটি।
কেঁদেছিল বহুবার অবুঝ মনে
সান্তনা দিয়েছিলো মা
মায়ার বাঁধনে বেঁধে বলেছিল

খোকা আমি তোমাকে স্বর্গ দিব।
আজ মা নেই... মায়া আছে
খোকা আরেকটা স্বর্গ পেয়েছে
তাই প্রয়োজন নেই মা।

খোকা ভুলে গেছে সব
ভুলে গেছে শীতের রাতে 
আদ্রতা জড়ানো কাঁথা।
মায়ের বুকের উষ্ণতার স্বাদ।
ভুলবেনা কেন?
আজ সে অভাব পূরণ করেছে
মায়াবী নারী। স্বর্গ পেয়েছে নতুন স্বাদের।
বহু আগের পুরানো স্বর্গ
বর্ণে মরিচা ধরা
নতুন স্বর্গ প্রয়োজন নেই কেন?
তাই ভুল করে গেছে ফেলে
বহু আগেকার নিখাঁদ সোনা।
খোকা জানে না এটা স্বর্গ নয়
এটা পথিকের সরায়খানা।

Monday, November 12, 2012

মুক্তি

বউ কথা কও, ময়না পাখি
কেমনে তোরে খাঁচায় রাখি?
দিলাম ছেড়ে যারে উড়ে
অনেক দূরে নীলের তীরে।

মন যদি চায় আবার তবে
আসবি যাবি- যেথায় যবে
দুয়ার খুলে রাখি।
যারে উড়ে অনেক দূরে
বন্দী খাঁচার দুঃখ ছেড়ে
আমার ময়না পাখি।

Sunday, November 11, 2012

তোমাদের জন্য

কেউ যদি কিছু বলে আমি পথে দাঁড়ালে
তাই কভু পথে নয়, থাকি আমি আড়ালে
দিনভর রবি কর- সন্ধ্যার কিছু পর
আলোকের বিদায়ে ছাড়ি তবে নিজ ঘর।
জ্যোৎস্নাকে গায়ে মেখে ভুলে যাই দুঃখ
ভুলে যাই সব কথা, যত কথা রুক্ষ।
তাঁরাদের মেলাতে ফুটে উঠা আসমান
দূর হতে সাড়া দেয় ভুলাতে অভিমান।
থাকি আমি হাসি মুখ- কেউ দিলে বর না
কেউ যেন জানেনা'ক চোখে মোর ঝড়না।
আঁখিপাত করিনা'ত- মন দিয়ে দেখি
আঘাতের তাপ দিয়ে চুপে মন সেকি।
তোমাদের পথ যেন থাকে সদা খোলা
তবু যেন খুশি তব মনে দেয় দোলা।।

Friday, November 9, 2012

কবিতা তুমি কখনো কাঁবেনা

কবিতা তুমি কখনো কাঁবেনা
আমি কাঁদিনা
আমার কান্নাকে নিকটিনের নিচে ঘুমিয়ে রাখি
কারণ আমার অধিকার যতটুকু
আমি খুব বেশি অবগত।।

আমিও ভালোবাসতে জানি
যেভাবে বাসতে হয়- তা হয়তো জানি না
অথবা কেউ সেটা অপছন্দ করে।
হয়তো সেটা নিখাঁদ
কেউ সেটা বিচার করে না।
আমি শুধু আমার মত হতে চাই,
কারোর মত হবার আশা নেই-
আমিই আমার প্রকৃত অভিনেতা।।

Thursday, November 8, 2012

ভয় পেয় না মন


জয় পরাজয় আসবে বলে
ভয় পেলে কি চলে
থাকতে হবে সবার সাথে
শক্ত সেনার দলে।

চিত্ত যদি মৃত্যু ডাকে
দৃপ্তে আনে ভয়
জীবন জয়ের যুদ্ধে তোমার
আসবে পরাজয়।

একটা বিজয় মুছবে তোমার
হাজার পরাজয়
ক্ষণিক কালো আঁধার ভালো
নেই'ত কোন ভয়।

ভাবছ মিছেই আঁধার কালো
কষ্ট বারংবার
আঁধার যদি নাই ঘনালো
আলোর কি দরকার?

আসুক যত ঘুর্ণিবায়ু
ভয় পেয় না মন
শক্তি নিয়ে সাহস নিয়ে
যাও পেরিয়ে রণ।



Wednesday, November 7, 2012

শোন হে কিশোর কবি

শোন হে কিশোর কবি,
যৌবন এসে ভর করে আছে-
আমারে করেছে দাবি।
তাই বেঁধেছি খড়-কুটাতেই ঘর
তার উপরে বইছে বিষম ঝড়।
কি যে হবে- বড়ই দ্বন্দ্বে আছি
ভরা বৈশাখ, কেমন করিয়া বাচি?
বাঁধা পড়ে আছে কোথাও আমার মন?
ওরে, তাই বুঝি করি অশ্রু বিসর্জন।
স্বর্গ-নরক, জলে-অজলে যেথায় পাব তারে

ফিরে আনবই কাকুতি করে- আমাদের সংসারে।
ভাবিসনা মন, মুখ কেন তোর কালা?
প্রস্তুত থাকি সদা মনে মনে মিটাতে দুঃখ জ্বালা।

অশ্রু নদী

অশ্রু নদীর দুকূল রইলো পড়ে
মন চাইলে কাঁদিস তুলতে ভরে।

নির্জনে কাঁদ, একলা কাঁদিস মন
কেউ না দেখুক- অশ্রু জলের পণ।

জানলে লোকে ফেলবে শোকে জল
আতশ বাজিও করতে পারে, করতে পারে ছল।

ভাবিস না তুই পড়বি মারা শোকে
মরতে পারিস বদ নসিবে, বললে কিছু লোকে।

দুঃখ বেজায় বন্ধু হবে- বুঝবি যবে সব
আগেই কেঁদে করিসনা মন, মিথ্যে কলরব।

অশ্রু নদীর দুকূল দিলাম ছেড়ে
কাঁদবি কাঁদিস উঠলে খানিক বেড়ে।

জল ফেলে কি পূর্ণ হবে- সকল মনোস্কাম
শক্ত মনে বুঝতে হবে- জলের অনেক দাম।

ভালবাসি তাই

ভালবাসি তাই রেখেছি মুক্ত করে
কেউ না চাইলে রাখব কেমনে ধরে?
তোমার আকাশ- মুক্ত তুমি পাখি
ডানা মেলে উড়ো- আমি তাই চেয়ে থাকি।
বলবনা তুমি বাসা বাঁধ এই বুকে
তোমার সুখেই থাকব আমি সুখে।